শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মাধবপুরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন

মাধবপুরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন

 

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার কৃষকদের চোখে- মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। সর্বত্রই সোনালি নতুন ধানের মৌ মৌ সুগন্ধ বয়ে যাচ্ছে। গ্রাম- গঞ্জের কৃষক পরিবার গুলোতে চলছে নতুন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলের মাঠে মাধবপুর উপজেলার জুড়ে সোনালী আমন ধানের হাসি।

যেদিকে চোখ যায় শুধুই এখন পাকা সোনালী আমন ধান। উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা, আদাঐর আন্দিউড়া, বুল্লা, শাহজাহান পুর, জগদীশপুর, নোয়াপাড়া ছাতিয়াইন বাঘাসুরা, মাধবপুর পৌরসভাতে সোনালি ধান আর ধানে যেন ফসলের মাঠগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আছে। সেখানে ধান কাটা, কাটা ধান খেত থেকে কৃষকের উঠানে নিয়ে আসা, ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরাদমে।

আবার অনেক ফসলের মাঠে দেখা যায় কৃষকরা পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে দিয়ে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছেন। ফলে সব মিলিয়ে কষ্টের এই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হয়েছে ধান এবারে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন।

তবে আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ মাত্রার চেয়েও বেশি হবে বলে জানায় তারা। মাধবপুর পৌরসভার আলাকপুর গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। যা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ১০ বিঘা জমি চাষ করে ৪০-৪২ হাজার টাকা খরচ হলেও উৎপাদন খরচ বাদেও চাষাবাদে লাভ হব। তবে কিছুটা ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। যদি ইঁদুরের উপদ্রব না থাকতো তাহলে আমন ধানের ফলন আরও ভালো হতো।

আদাঐর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে বিনা-১৭ লাগানো হয়েছিলো। এই ধানগুলোর বাম্পার ফলন হবে তা আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা। আগামী বছর আর কয়েক বিঘা জমিতে নতুন এই জাতের ধান রোপন করব। আন্দিউড়া ইউপির মিরনাগর গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, আমার বাবার নেওয়া ৩ বিঘা বন্ধকি জমিতে আমন ধান চাষ করেছি।

এখন আমার ফসলি মাঠে ধান আর ধান গত ৫ বছর ধরে ধান চাষ করি এর আগে কখনো এরকম বাম্পার ফলন হয়নি তবে ধানের মূল্য কম থাকায় হতাশায় ভূগছেন তিনি। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, এ মৌসুমে উপজেলার ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে।

যা আমাদের উৎপাদন লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি। তাছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার, ধান মাড়াই যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এবং কৃষি উপকরণের সংকটও দেখা যায়নি। সঠিক সময়ে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় আমন ধানের বাম্পার হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |